অক্টোবর ৩১, ২০১৯
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা: জেলায় পরীক্ষার্থী ৩৩ হাজার ৯শ’ ৩৭ জন
রাকিবুল ইসলাম: দেশব্যাপী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগামীকাল শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা-১৯ শুরু হবে। যশোর শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খলাভাবে গ্রহণ করার লক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সাতক্ষীরা জেলায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ৭টি উপজেলায় ৩৯টি কেন্দ্রের ২৫ টি ভেন্যুতে ৩৩ হাজার ৯শ’ ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এরমধ্যে জেএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৬শ’ ৮২ জন এবং জেডিসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ২শ’ ৫৫ জন। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার প্রথম দিনে (২ নভেম্বর) বাংলা, (৪ নভেম্বর) ইংরেজি, (৫ নভেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, (৬ নভেম্বর) ধর্মীয় শিক্ষা (ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু-ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিস্ট-ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ও বৌদ্ধ-ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা), (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, (৯ নভেম্বর) গণিত এবং (১১ নভেম্বর) বিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার প্রথম দিনে (২ নভেম্বর) কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ, (৩ নভেম্বর) আকাঈদ ও ফিকহ, (৪ নভেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, (৫ নভেম্বর) আরবি ১ম পত্র, (৬ নভেম্বর) আরবি ২য় পত্র, (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, (৯ নভেম্বর) গণিত, (১১ নভেম্বর) ইংরেজি, (১২ নভেম্বর) বিজ্ঞান এবং (১৩ নভেম্বর) বাংলা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৬ হাজার ৫শ’ ২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জেএসসিতে ৪ হাজার ৫শ’ ৮৪ জন এবং জেডিসিতে ১ হাজার ৯শ’ ৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। কলারোয়া উপজেলার ৫ হাজার ৪শ’ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটে (জেএসসি) ৪ হাজার ৩শ’ ৮২ জন এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটে (জেডিসি) ১ হাজার ১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। তালা উপজেলার ৫ হাজার ৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটে (জেএসসি) ৪ হাজার ১শ’ ২০ জন এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটে (জেডিসি) ৮শ’ ৮৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। আশাশুনি উপজেলার ৪হাজার ৮শ’ ৬৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটে (জেএসসি) ৩ হাজার ৫শ’ ৮৭ জন এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটে (জেডিসি) ১ হাজার ২শ’ ৭৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। কালিগঞ্জ উপজেলার ৪ হাজার ৯শ’ ৭৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটে (জেএসসি) ৩ হাজার ৯শ’ ২৮ জন এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটে (জেডিসি) ১ হাজার ৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। দেবহাটা উপজেলার ২ হাজার ৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জেএসসিতে ১ হাজার ৭শ’ ২ জন এবং জেডিসিতে ৩শ’ ৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। শ্যামনগর উপজেলার ৫ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটে (জেএসসি) ৩ হাজার ৩শ’ ৭৯ জন এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটে (জেডিসি) ১ হাজার ৭শ’ ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার এস. এম. আব্দুল্লাহ মামুন জানান, ‘ইতোমধ্যে আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খলভাবে গ্রহণ করার লক্ষে জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছি। টিমগুলো সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। একই সাথে পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে পরীক্ষার পূর্বে এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, পরীক্ষা কেন্দ্রের আশ-পাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে সকল ফটোকপির দোকান বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সকল প্রকার কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকছে’। তিনি আরও জানান, ‘কিছু প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে ) ভুয়া / মিথ্যা প্রশ্ন তৈরি করে দ্রুত গুজব ছড়ায়। এমন ধরনের গুজব যাতে না ছড়াতে পারে এবং পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ যাতে কোনোরূপ অনৈতিক কাজে বা প্রতারণার ফাঁদে না জড়ান সে বিষয়ে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’ 8,495,223 total views, 3,002 views today |
|
|
|